ঢাকায় সাকিব আল হাসানের নাম হত্যা মামলায় জড়ানোর পরেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে তাকে দলে রাখা হবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এই কঠিন সময়ে সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার সতীর্থরা, এবং অনেকেই মনে করছেন যে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই দায়ের করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় এক গার্মেন্টস কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার আসামীর তালিকায় সাকিব আল হাসানের নামও রয়েছে।
মামলার সময় সাকিব বিদেশে ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। মাগুরা-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরেও তিনি দেশে ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমর্থন জানাননি। এর ফলে এখন মামলার ঘটনা কিছুটা রহস্যজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মামলা হওয়ার পর সাকিবের সতীর্থরা তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয় লাভের পর মুমিনুল হক এই মামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং একে ‘মিথ্যা মামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, রুবেল হোসেনও সাকিবকে সমর্থন জানিয়েছেন।
বিবিসি’র ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবও সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল এক বিবৃতিতে বলেন, সাকিবের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার গুরুত্ব অপরিসীম। তারা আশা প্রকাশ করেছে যে, রাজনৈতিক কারণে যেন সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা না হয় এবং মামলাটির যথাযথভাবে বিচার করা হবে।
অন্যদিকে, বিসিবি জানিয়েছে, সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনার উকিল নোটিশ এখনও হাতে আসেনি। নোটিশ হাতে পাওয়ার পর বিসিবি আইনি পরামর্শ নেবে। পাকিস্তান দলের ম্যানেজমেন্টের কাছে সাকিবের ব্যাপারে কোনো বার্তা পাঠানো হয়নি এবং সাকিবকে ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের দলে রাখা হবে কিনা, তা এখনও ভাবা হচ্ছে।
বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে সাকিবকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সাকিবও আশ্বাস দিয়েছেন যে, মামলার বিষয়টি তার খেলায় প্রভাব ফেলবে না। আজ তার দলের সঙ্গে অনুশীলনের কথা রয়েছে।