শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞ চালানোর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচিত সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গোপনে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলেও ৬ আগস্ট এয়ারপোর্টে আটক হন। ১৫ আগস্ট আদালত পলককে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, রিমান্ডে পলক কান্নাকাটি করছেন এবং তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করছেন।
রিমান্ডে পলক উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন, যাদের সাথে মিলে তিনি এবং তার সিন্ডিকেট দুর্নীতির জাল বিস্তার করেছিলেন। পলক জবানিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহানা পুত্র রাদওয়ান সিদ্দিক ববি, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, এবং সিআরআই সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের নামও উঠে এসেছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পলক স্বীকার করেছেন যে তার মন্ত্রণালয়ে কোনো কাজ জয়ের সিগন্যাল ছাড়া হতো না এবং তার নির্ধারিত কোম্পানিগুলো থেকে সরবরাহকারীরা যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার ক্রয় করতেন। এছাড়া, পলকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে আনির চৌধুরী, ডা. বিকর্ন কুমার ঘোষ, এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিনের নামও উন্মোচিত হয়েছে।
এছাড়া, পলকের রিমান্ডে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতির তথ্যও প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের নামও রয়েছে। পলকের সহকারী থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাইকে তদন্তের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রিমান্ড অফিসার।
এই তদন্তের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন প্রকল্প, এটুআই, হাইটেক পার্ক, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে দুর্নীতির চক্র উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।