দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নতুন সরকারের আগমনের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাসের কারণে ভেন্যু নিয়ে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্বকাপ ভিন্ন দেশে আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কিছুটা সময় নিচ্ছে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে।
আগেই জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে ভাবছে আইসিসি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ মন্তব্য করেছেন যে, আইসিসি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ভারতের সাথে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু বিসিসিআই প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছে।
এবার, ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিকল্প আয়োজক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইসিসি চাচ্ছে দুবাই বা আবুধাবিতে বিশ্বকাপ সরিয়ে নিতে, তবে বিসিবি আরও কিছুদিন সময় চেয়েছে। আগামী ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি, যেখানে বিসিবি তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
বিসিবির একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও পাঁচদিন সময় চেয়েছেন, যা মানে ২০ আগস্টের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। এর আগে, আইসিসি ১৫ আগস্টের মধ্যে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করেছিল।
আইসিসি এমন কোনো দেশকে আয়োজক হিসেবে চায়, যাদের টাইম জোন বাংলাদেশের সাথে মিল আছে এবং আবহাওয়া খেলার উপযোগী। সেই বিবেচনায় প্রথমেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম আসে।
আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে রয়েছে বিশ্বমানের অবকাঠামো এবং তারা এ ধরনের ইভেন্ট আয়োজনে আগ্রহী। এছাড়া, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কাও তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
১০ দলের অংশগ্রহণে আগামী ৩-২০ অক্টোবর পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ১৮ দিনের এই টুর্নামেন্টের জন্য মিরপুর শের-ই বাংলা ও সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।