রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শেষ এক ঘণ্টায় শান মাসুদ বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে চেয়েছিলেন। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ থাকার পরও ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। তবে নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহদের পেস তোপ দারুণভাবে সামলেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করেছেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প শিষ্যদের এমন নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে খুশি। দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে হেম্প স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, “দিনের শেষ ভাগে, শেষ ১২ ওভার যেভাবে তারা খেলেছে, আমি খুবই আনন্দিত। এটি ছিল খুব চ্যালেঞ্জিং। সারাদিন ফিল্ডিংয়ে খাটুনির পর আমাদের শেষ ঘণ্টা ব্যাট করতে হয়েছে। তবে আমাদের শৃঙ্খলা ধরে রেখে প্রচুর রান করতে হবে।”
রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হলেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা কতটা ভালো করেন, তা দেখার অপেক্ষা। তৃতীয় দিনের শুরুতে আরও চ্যালেঞ্জ থাকবে—এই বিষয়টি জানিয়ে হেম্প বলেন, “আমরা আক্রমণাত্মক বোলিং মোকাবেলার প্রস্তুতি রাখছি। কালকের ব্যাটিং দেখে চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের পরিকল্পনা সাজাব। এখনও অনেক খেলা বাকি। যদি আমরা তাদের কাছাকাছি যাই বা ছাড়িয়ে যেতে পারি, তারপর বোঝা যাবে। আপাতত উইকেট ভালো মনে হচ্ছে।”
পাকিস্তানের চার পেসারকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন হেম্প, “পাকিস্তানের অত্যন্ত ভালো ৪ জন পেসার আছে। আমাদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জ হবে। আমরা যতটা সম্ভব ইতিবাচক থাকতে চাই এবং যত বেশি রান বের করতে চাই। উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো, এটিই আমরা আগামী সময়টায় কাজে লাগাতে চাই।”
ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও ২০ উইকেট পড়বে কী না, এমন প্রশ্নের উত্তরে হেম্প বলেন, “একটি বাজে বলেও উইকেট পড়ে যেতে পারে। পাকিস্তানে টেস্ট হলে আমরা দেখেছি পঞ্চম দিনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই উইকেট একটু আলাদা, এখানে ঘাস বেশি। দেখা যাক, বাকি দুই দিনে কী হয়।”