হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মাঠে নামা সত্ত্বেও সাকিব আল হাসানের মনোবল এতটুকু ভেঙে পড়েনি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স এর প্রমাণ। দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে বোলিংয়ের দুর্দান্ত সমন্বয় করে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সাকিব। শিকার করেন পাকিস্তানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের নিবেদিত মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, “যখন তিনি দেশের হয়ে মাঠে নামেন, তখন অনেক নিবেদিত একজন খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। ব্যক্তিগত জীবন একদিকে সরিয়ে রেখে দলের জন্য ভালো পারফর্ম করতে সাকিব ফোকাস করেন। বিশেষ করে দলের জুনিয়রদের আলাদা করে সহায়তা করেন—এগুলো সবই তার বিশেষত্ব।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, প্রথম টেস্টের পর সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সাকিবের পারফরম্যান্স দেখে দলপতি শান্ত মনে করেন, টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা সাকিবকে ঘিরে আগের মতোই থাকবে।
ঐতিহাসিক এই জয়ে সাকিবসহ পুরো দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, “আমি কোনো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সকে আলাদা করে কৃতিত্ব দিতে চাই না। তবে যদি কৃতিত্ব দিতে হয়, সেটা পুরো দলের, বিশেষ করে ওপেনারদের, যারা পাকিস্তানের দুর্দান্ত পেস আক্রমণের বিপক্ষে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে।”
এ জয়ের পর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশ ছয় নম্বরে উঠে এসেছে। দলপতি শান্ত বলেন, “দেশের বাইরে খুব একটা জিতি না। নিউজিল্যান্ডের পর এখানে জিতলাম। এ জয়ের মাধ্যমে আশা করি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে এবং সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।”