সাকিব আল হাসান, যিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, সরকার পতন এবং সংসদের বিলুপ্তির পরও তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব পড়েনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও সাকিবের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিলেও, আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দলে তার নাম রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে সাকিবের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আজ (সোমবার) বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এবং সাকিবের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেন।
লিপু বলেন, “সাকিবের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ সব সময়ই ছিল। গত মাসেও এবং এই মাসেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। দেশের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া আমাদের দায়িত্বের অংশ। এছাড়া শরিফুলের সঙ্গেও কথা হয়েছে।”
অনুশীলন ছাড়াই কেন সাকিবকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লিপু বলেন, “এটা তার পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। তার পারফরম্যান্স তাকে সেই জায়গায় নিয়ে গেছে। তার অভিজ্ঞতা এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড সবকিছু মিলিয়ে তাকে দলে রাখা হয়েছে।”
পাকিস্তানে দলের সঙ্গে কবে যোগ দেবেন সাকিব, এমন প্রশ্নের জবাবে লিপু বলেন, “জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলাকালীন আমরা তার ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের আটটি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে, এবং সেখানে তার থাকা নিয়ে কথা হয়েছিল। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। পরে তার সাথে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমরা জানতে পেরেছি যে তিনি ১৪ অথবা ১৫ তারিখে দলের সঙ্গে পাকিস্তানে যোগ দেবেন, যেটি লজিস্টিক দল দেখছে।”