গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা রফিকুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয় সাকিব আল হাসানকে। এর পর, সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী সাকিবকে দলের বাইরে রাখার এবং দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আইনি নোটিশ দেন।
মামলার পর বিসিবির নতুন সভাপতি জানিয়েছেন, চলমান প্রথম টেস্ট শেষে সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সাকিব হত্যার অভিযোগ মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে তার উপস্থিতি এবং বিসিবির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সাকিবের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিয়ে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা সোচ্চার হয়েছেন। মুমিনুল হক প্রথমে সাকিবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেছেন, মামলাটি মিথ্যা।
জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, এনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, শরীফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী হাসানসহ অনেক ক্রিকেটার সাকিবের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবও সাকিবের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে এবং মামলাটি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তান সফররত বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও সাকিবের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ৩০ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে সাকিব রয়েছেন এবং তিনি একাদশেও থাকতে পারেন।
এদিকে, বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে যে সাকিবকে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং সাকিবও নিশ্চিত করেছেন যে মামলার কোনো প্রভাব তার পারফরম্যান্সে পড়বে না। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে ইসলামাবাদ ক্লাব মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অনুশীলনে যোগ দেবেন সাকিব আল হাসান।