কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে বেঙ্গল টাইগার্স মিসিসাগার হয়ে এই মুহূর্তে মাঠ মাতাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটেও অংশ নিয়েছিলেন।
বিসিবি তাকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। তবে এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা। তবে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সাকিবের দলে থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সাকিব আল হাসান গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তার অবস্থান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক পরিচিতির কারণে সাকিবের বিরুদ্ধে দেশে ও প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি সমর্থকরা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কানাডায় চলমান টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও সমর্থকরা প্রকাশ্যে তাকে গালমন্দ করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে সাকিবের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তিনি খেলবেন কিনা, বা তাকে দলে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সাকিবের সরাসরি কানাডা থেকে পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তাই দেশে এখনই তার ফিরতে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সদস্য শাহরীয়ার নাফিস বলেন, “সাকিব আল হাসান এখন আর সংসদ সদস্য নন। তিনি একজন ক্রিকেটারই রয়েছেন। তবে প্রত্যেক মানুষেরই নিরাপত্তার ব্যাপার আছে।”
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের বিদেশি কোচ ও স্টাফদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নাফিস জানিয়েছেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাপোর্ট স্টাফরা ১ আগস্ট থেকেই দেশে আছেন এবং অনুশীলন শুরুর অপেক্ষায় আছেন। আমরা যদি অনুশীলন শুরু করতে পারি, তাহলে তারা অবশ্যই অনুশীলনে থাকবেন।”
বর্তমান অস্থিরতার কারণে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে বিসিবি আশা করছে, আগামীকাল থেকেই অনুশীলন শুরু করা যাবে।