পেশাদার ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়ানোর উদাহরণ অনেক আছে, কিন্তু জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ক্রিকেটার বিরল।
এমনই একজন ব্যতিক্রমী উদাহরণ সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অসামান্য অবদানের পাশাপাশি, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই সরকারের পতন এবং চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
তবে আপাতত সাকিব পাকিস্তান সিরিজের দলে আছেন এবং তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে রাজনীতির কোনো প্রভাব পড়ছে না। তারপরও প্রশ্ন উঠছে, জাতীয় দলে খেলার সময়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এ প্রসঙ্গে বলেন, “রাজনীতির পাশাপাশি কেউ জাতীয় দলে থাকতে পারবে কিনা, এ বিষয়ে কিছু স্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। জাতীয় দলকে সেবা করার সময় কোনো খেলোয়াড়ের জন্যে রাজনৈতিক দলে যোগদান করা উচিত কিনা তা নিয়ে ভাবা উচিত।”
লিপু আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকেও এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। কোনো জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে তাদের দলে নেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও ভাবতে পারে। এটা একতরফা নয়; শুধু একজন খেলোয়াড়কে দোষারোপ করা উচিত নয়।”
তিনি আরও জানান, কোনো ক্রিকেটারের ওপর দেশের অনেক বিনিয়োগ থাকে। যদি সেই খেলোয়াড় রাজনীতিতে জড়ান, তাহলে দেশেরই ক্ষতি হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত নির্দেশিকা থাকা উচিত, যা খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে এবং দেশকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে সক্ষম করবে।