দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নেতৃত্বের সংকট তৈরি হয়েছে।
বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ, যাদের বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ–সমর্থিত, প্রায় সবাই আত্মগোপনে আছেন। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান দেশ ত্যাগ করেছেন, আর পেশাজীবী কর্মকর্তাদের সহায়তায় পরিচালনা বোর্ডের নীতিনির্ধারণী কাজগুলো চলছে।
অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনের মতো বিসিবিও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দায়িত্ব নেওয়ার পর আশার কথা শুনিয়েছেন।
যদিও দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। তিনি বলেন, “দেশ গঠনের সময়ে এ রকম কিছু ঘটলে, সেটা দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হবে।”
ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন, বিসিবি যদি আইসিসির নিয়মের বাইরে গিয়ে পুনর্গঠনে হস্তক্ষেপ করে, তবে তা বিপদজনক হতে পারে।
অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলো সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট এই রকম পরিস্থিতি এড়াতে চায়।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজ ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা গেছে। বিসিবি এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আইসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে, যা নতুন নির্বাচন পর্যন্ত বোর্ড পরিচালনা করবে।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমূল আবেদীন গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বোর্ড পরিচালকদের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, “তাঁরা যদি সত্যিকারের সেবক হতেন, তবে অবশ্যই আসতেন। তাঁদের নিজস্ব এজেন্ডা ছিল যা তাঁরা বাস্তবায়ন করেছেন।”
নাজমূল আবেদীন বিসিবির হাইপারফরম্যান্স বিভাগ, ক্রিকেট একাডেমি, এবং নারী বিভাগে কাজ করেছেন এবং বিসিবির গত নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “যাঁরা সিস্টেম ভালোভাবে চালাতে পারবেন, তাঁদেরই ক্রিকেট বোর্ডে আসার যোগ্যতা আছে। নেতৃত্ব ঠিক থাকলে বাকি জিনিসগুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।”