বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও সেই অনিশ্চয়তা আপাতত দূর হয়েছে।
সোমবার নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে দলটি পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হবে। পূর্বপরিকল্পিত সময়ের পাঁচ দিন আগেই যাত্রা করছে তারা, মূলত অনুশীলনের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে।
নির্বাচক প্যানেল পাকিস্তান সিরিজের দলে সাকিব আল হাসানকে রেখেছে। বোর্ড অনুমোদন পেলেই সাকিব দুবাই থেকে সরাসরি পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
আজ রবিবার বিসিবি পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট দল ঘোষণা করবে। ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সাকিবের দলে থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাকিব দলে থাকবেন কিনা, এ নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। তবে নির্বাচকরা তাঁকে দলে রেখেই বোর্ডে জমা দিয়েছেন।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, “নির্বাচকেরা যদি চান সাকিব খেলবে, না চাইলে খেলবে না। জাতীয় দলে খেলতে একজন ক্রিকেটারের যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেসব যদি সে পূরণ করে, তাহলে দলে থাকতে তার কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।”
নির্বাচক প্যানেলের এক সদস্য উল্লেখ করেন, “যে আন্দোলন হয়েছে সেটি মেধার জন্য। আর সাকিব যদি দলে সুযোগ পান সেটি মেধার কারণেই পাবেন। কে কোথায় রাজনীতি করবে, সেটি একান্ত তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা সাকিবকে রেখেই দল দিয়েছি, এখন বোর্ড অনুমোদন করলে সাকিব পাকিস্তান সিরিজ খেলবে।”
অন্যদিকে বিদেশি কোচরা ঢাকায় থাকলেও অনুশীলনে মাঠে যাচ্ছেন না। স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলামের তত্ত্বাবধানে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি কোচদের মাঠে আনা কঠিন বলে আগেভাগেই জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাল সোমবার বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেবে এবং সেখানেই টেস্টের প্রস্তুতি চলবে।