বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনে তিনি শপথ নেন, পরে তার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ জন উপদেষ্টা শপথ নেন।
এই নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের পর জাতিসংঘ তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে যে, সাম্প্রতিক আন্দোলন-সংগ্রামের সময় সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর তদন্তে সহায়তা করতে তারা প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক এই প্রতিক্রিয়া দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য আমাদের আশা এখনও অটল রয়েছে, এবং জনসাধারণের মধ্যে সহিংসতা হ্রাস ও সংযমের যে কোন ইঙ্গিতকে আমরা স্বাগত জানাই।”
ফারহান হক আরও বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধ করতে আমরা সচেষ্ট। আমরা সবসময় জাতিভিত্তিক আক্রমণ এবং বর্ণভিত্তিক উসকানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।”
এক প্রশ্নের জবাবে, ফারহান হক জানান যে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এখনো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে কথা বলেননি, তবে বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়কারী শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে ফারহান হক বলেন, “নতুন সরকার গঠিত হলে আমরা তাদের কাছ থেকে কোন আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাই, সেটি দেখবো। তবে আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সহায়তা ও সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছি, যা তাদের প্রয়োজন হতে পারে।”