আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং এর পরবর্তীতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের কর্মবিরতির কারণে দেশের সড়কগুলোতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
তবে সেই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে এসেছে দেশের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকগণ। তারা বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা পালন করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দারুণ ভূমিকা রাখছে, যার ফলে তারা প্রশংসায় ভাসছেন।
কাঠফাঁটা রোদে তপ্ত সড়কে শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করছে ট্রাফিক পুলিশের মতো। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তাদের দক্ষতা সারা দেশের মানুষকে বিস্মিত করেছে।
মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকায়ও শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তাদের এই প্রচেষ্টায় পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যারা শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের কর্মচারীরা স্টেডিয়ামের আশেপাশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ২৫০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করেন।
পুলিশ সদস্যদের কর্মবিরতির কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়লেও, শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টার ফলে সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষও শিক্ষার্থীদের এই অবদানকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখছেন।
সড়কে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করছে এবং গাড়ি চালকদের সঠিক লেন মেনে চলতে বাধ্য করছে। সিগন্যাল না মানলে তাদের সতর্কও করা হচ্ছে।
ফলে, ট্রাফিক পুলিশ ছাড়াই রাস্তায় যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে, বড় যানজটও তেমন দেখা যাচ্ছে না।
এছাড়াও, ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া এই শিক্ষার্থীরা নিয়ম না মানা চালকদের শাস্তিও দিচ্ছেন।
হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের সতর্ক করার পাশাপাশি, ক্ষেত্রবিশেষে শাস্তি হিসেবে ৫-১০ মিনিট রাস্তার পাশে অপেক্ষায়ও রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি তারা রাস্তা পরিষ্কার করতেও সাহায্য করছে।