ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অনেক নেতা-কর্মীও দেশ ত্যাগ করেছেন।
এর মধ্যে ৯০ জন এমপি-মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বহু নেতা পালিয়ে গেছেন। এর ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন তিনি। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন কাদের।
তাকে আটক করা হয় মুর্শিদাবাদের ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুর গ্রাম থেকে। পরে তাকে স্থানীয় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
রোববার দুপুরে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয় কাদেরকে। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার অভিযান চালিয়ে কাদেরকে আটক করা হয়। এর আগে তিনি চারদিন ধরে রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার বয়রাঘাট সীমান্তে একটি গ্রামে লুকিয়ে ছিলেন।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কাদেরকে বর্তমানে স্থানীয় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।