ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
গত বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেওয়ার পর আজ রোববার প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস শুরু করেন তিনি।
সচিবালয়ে আসিফ মাহমুদকে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। পরে নিজের রুমে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন নাজমুল হাসান পাপন, যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতিও ছিলেন। তবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন, যার ফলে মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়।
আসিফ মাহমুদকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের দুটি বড় ফেডারেশন—বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বিসিবির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিসিবি বিশ্বাস করে যে, ক্রীড়াঙ্গনের অগ্রগতিতে জনাব ভূঁইয়ার একাগ্রতা এবং প্রতিশ্রুতি তার নতুন ভূমিকাকে অনন্য নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে।”
বিসিবি আরও জানায়, “বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার নিয়োগ হয়েছে এবং বিসিবি তার সাফল্য কামনা করে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির লক্ষ্য সামনে রেখে একসাথে কাজ করতে উদগ্রীব বিসিবি।”
নতুন উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাফুফেও। তারা এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ মাহমুদের সাফল্য কামনার কথা জানায় এবং তার জন্য শুভকামনা প্রকাশ করে।