বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলাচত্বর হত্যাকাণ্ডসহ আওয়ামী শাসন আমলের আইনবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছে কানাডাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘মার্চ ফর জাস্টিস’।
৯ আগস্ট শুক্রবার টরন্টো সময় সন্ধ্যায় ড্যানফোর্থের বাংলাদেশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। সভায় বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি এই দাবি তোলা হয়।
সভায় সংখ্যালঘুসহ সাধারণ মানুষের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া কানাডার এমপি ও রাজনীতিবিদদের মন্তব্যের ক্ষেত্রে বাস্তব সত্য যাচাইয়ের তাগিদ দেওয়া হয়। লিবারেল পার্টির এমপি চন্দ্রা আরিয়ার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সভায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং ড. ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি অভিনন্দন জানানো হয়। সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক রেজাউল করিম তালুকদার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন টরন্টোর সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ খোন্দকার টুকু, ড. খালিদ হাসান, পরমাণু প্রকৌশলী শেখ শাহদাত হোসেন, ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশির প্রেসিডেন্ট ড. হাসনাত হুসেইন, সাংবাদিক গাজী সালাহউদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তারা চলমান অস্থিরতার মধ্যে সংখ্যালঘুদের প্রতি কোনো ধরনের অত্যাচার সহ্য করা হবে না উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রশাসন ও বিচার বিভাগ তার কাছের মানুষ দিয়েই সাজানো রয়েছে।
এ ছাড়া বহির্শক্তি অস্থিরতা তৈরির পাঁয়তারা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আলোচকরা বলেন, এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সকল বাংলাদেশিকে নাশকতা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
কানাডার লিবারেল পার্টির এমপি চন্দ্রা আরিয়া এবং কনজারভেটিভ পার্টির এমপি পলিভিয়ারের মন্তব্য সত্য নয় বলে অভিহিত করে তাদের প্রতি সত্য জানার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে মিথ্যা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সভায় অতিরঞ্জিত খবর দেশের অস্থিরতা বাড়াতে পারে উল্লেখ করে বিদেশি মিডিয়ার প্রচারিত খবর থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
চরম ক্রান্তিকালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং বাংলাদেশের ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনে সব প্রবাসীর সহায়তা আশা করা হয়। একটি অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সব ধরনের পদক্ষেপের আশা করা হয়।
সভাটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে শহীদ তরুণদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।