ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রোটোকল অনুযায়ী যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পানি প্রবাহের তথ্য নিয়মিতভাবে বিনিময় করে ভারত, এবং ‘এবারও’ সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে।
পদ্মার উজানে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
সোমবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা কিছু ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং আতঙ্ক সৃষ্টিকারী তথ্য দেখতে পাচ্ছি, যা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করছে। সঠিক তথ্য অবশ্যই প্রকাশিত হওয়া দরকার।”
তিনি বলেন, “ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ার ফলে ব্যারেজ দিয়ে গঙ্গা/পদ্মা নদীতে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে এটি বর্ষা মৌসুমের একটি স্বাভাবিক ঘটনা। উজানে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারি বৃষ্টিপাত হলে সব সময়ই ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারত সবসময় প্রোটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে পানি প্রবাহের তথ্য বিনিময় করে থাকে। এবারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।”
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোকলেসুর রহমান বলেন, “এটি স্বাভাবিক বন্যার পানি; পাহাড়ি ঢল নয়। তাই বড় কোনো আশঙ্কার কিছু নেই।”
ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খোলার বড় কোনো প্রভাব বাংলাদেশে এখনও পড়েনি জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, “আগামীকাল থেকে এর প্রভাব বোঝা যেতে পারে।”