ভারতের ফারাক্কা বাঁধ থেকে একদিনে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাঁধ প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক আর ডি দেশপান্ডে। শনিবার থেকে এই পানি ছাড়া শুরু হয়েছে এবং এখন ব্যারেজের সব গেট খোলা রাখা হয়েছে। দেশপান্ডে বলেন, “ফারাক্কার পানি নিয়ম অনুযায়ী ছাড়া হচ্ছে, এবং এটি বন্যার কারণ নয়।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে ফারাক্কা বাঁধের উপর চাপ বেড়েছে, ফলে বাধ্য হয়ে পানি ছাড়তে হচ্ছে। বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে এবং সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে, যা আপস্ট্রিম থেকে আসা পানির পরিমাণ অনুযায়ী নির্ধারিত।
পানি ছাড়ার ফলে বিভিন্ন এলাকায় পানির স্তর বাড়ছে, বিশেষত মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্লাবনের আশঙ্কায় রয়েছেন।
ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পসূত্রে আরও জানা গেছে, বাঁধের পানিধারণ ক্ষমতা ২৬.২৫ মিটার হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে বাঁধটি সুরক্ষিত রাখতে পানি ছাড়ার কোনো বিকল্প নেই। নিমতিতা, নূরপুর, গিনিয়া, এবং জঙ্গিপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পানির স্তর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
মহাব্যবস্থাপক দেশপান্ডে বলেন, “৪০ হাজার কিউসেক বাদে সব পানি নিচে ছাড়তেই হয়। আপস্ট্রিমের পানি প্রবাহ কমানো সম্ভব নয়, ফলে ডাউনস্ট্রিমে পানির পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে ফারাক্কা থেকে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে।”