টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জীবনের শিক্ষা ও মানবিকতার প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুর পর নিজের দেহ দানের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
ভারতের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “আমার আপন ফুপু এবং ফুপা একই পথে গিয়েছিলেন। তারা মৃত্যুর আগে দেহ দান করেছিলেন, এবং এই পথেই হাঁটবেন বলে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ঋতুপর্ণা জানান, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ দানের মাধ্যমে তিনি প্রভাবিত হয়েছেন। তার মতে, দেহ দান করে গেলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হয়তো মৃত্যুপথযাত্রী কাউকে জীবনের পথে ফেরাতে সাহায্য করতে পারবে। “তার মাধ্যমে আমি চিরকাল বেঁচে থাকব,” যোগ করেন তিনি।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ঋতুপর্ণা সাধারণ মানুষের মাঝে একটি অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেছেন। অনেকেই তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তাকে ভালোবাসা জানিয়েছেন।
ঋতুপর্ণা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত ও রসিক মানুষ। তিনি সবসময় হাসিমুখে মানুষের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। তার আমলে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হওয়া হয়েছে, এবং প্রতিবারই তার হাসিমুখ দেখতে পেয়েছি।”
ঋতুপর্ণার এই মানবিক সিদ্ধান্ত সমাজে দারুণ প্রভাব ফেলেছে এবং অনেকের জন্য একটি শিক্ষণীয় উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।