বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শপথ বাক্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন শপথ বাক্যটি দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিটিআইয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর পাঠ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন শপথ বাক্যটি হলো:
“আমি শপথ করিতেছি, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”
এর আগে, পূর্বের শপথ বাক্যটি ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি। পূর্বের শপথ বাক্য:
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।”
নতুন শপথ বাক্যটি জাতির সেবা, দেশের প্রতি অনুগত থাকা এবং দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে।