একদল পরীক্ষার্থীর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো সরাসরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত এবং ক্ষতিকর বলে অভিহিত করেছেন ১১ জন অভিভাবক।
তারা অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোসহ সব এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ২ মাস পিছিয়ে নিয়ে হলেও বাতিল পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ করা উচিত।
রবিবার “উদ্বিগ্ন অভিভাবক ফোরাম”-এর আওতায় ১০ কলেজের ১১ জন অভিভাবক এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রছাত্রীদের মেধার যথাযথ মূল্যায়নের গুরুত্ব বিবেচনা না করে তাদের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের অবমূল্যায়ন করবে এবং তাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিভাবক, কলেজের অধ্যক্ষ এবং জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।
গত ৩০ জুন শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার সাতটি পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে দুই দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো আবার শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে, কিছু পরীক্ষার্থীর আন্দোলনের ফলে ২০ আগস্ট সরকার পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়, যা প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন রাজউক কলেজ, সাউথ পয়েন্ট কলেজ, বিএফ শাহীন কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজ, নটর ডেম কলেজ, সিটি কলেজ, এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা।