বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সচিবালয়ে সংঘর্ষে জড়িত আনসারদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে, যেখানে সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এ দাবি জানান। তিনি আহত শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছাড়ে নাই। দিল্লিতে বসে খুনি হাসিনা যে ষড়যন্ত্র করছে, শিক্ষার্থীরা তা রুখে দিতে প্রস্তুত। আমরা দেখছি, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার গঠনের পর থেকে খুনি হাসিনার দোসররা একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করছে।”
আবু বাকের বলেন, “যদি তারা সচিবালয় ব্লক করে, ছাত্র-জনতা তাদের সমুচিত জবাব দেবে।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও একজন সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “আজকের পর থেকে এই রাষ্ট্র স্থিতিশীল হয়ে চলার ক্ষেত্রে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, ছাত্র জনতা তাদের রুখে দেবে।”
এ ঘটনার আগে, রোববার রাত ৯টার পর থেকে সচিবালয়ের সামনে কয়েক দফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে আনসার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের পর আনসাররা পিছু হটে এবং পরবর্তীতে দিনভর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকা ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসেন।