গাজী টায়ার্সে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় নিখোঁজের তালিকা তৈরিতে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিস। স্বজনদের দাবির ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন নিখোঁজের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তারা। রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার পর থেকে এখনও কারখানাটি দাউদাউ করে পুড়ছে।
ঢাকা ফুলবাড়িয়া, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড, এবং কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কারখানার ভেতরে ৩শ থেকে ৪শ জন আটকা পড়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, বিকেল ৩টার দিকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ জন লোক লুটপাটের জন্য কারখানায় ঢুকে ভাঙচুর করতে থাকে, এবং রাত ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
গাজী টায়ার্সের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানিয়েছেন, আগুন লাগা ভবনটিতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল মজুদ ছিল, যা আগুন নিয়ন্ত্রণকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) জানিয়েছেন, অবকাঠামোগত সমস্যা ও টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এবং কতক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে তা বলা যাচ্ছে না।
আগুনের ঘটনায় চারপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।